নিজস্ব প্রতিবেদক :: পিডিনিউজ২৪.কম ।।
দেশীয় ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন, বিপণন ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের উদ্যোগে ই-কমার্স ব্র্যান্ড ওয়ালকার্ট এর যাত্রা শুরু। ‘সহজে, সবখানে, নিরাপদে’- এ স্লোগানে একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার লক্ষ্যে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ওয়ালকার্টের যাত্রা শুরু বলে জানিয়েছেন ওয়ালটনের ঊর্ব্ধতন কর্তৃপক্ষ।
এ উপলক্ষে রোববার (১৯ ডিসেম্বর, ২০২১) রাজধানীতে ওয়ালটন করপোরেট অফিসে গ্র্যান্ড ওপেনিং প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়। জমকালো ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ওয়ালকার্টের উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলমাস কবীর, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) প্রেসিডেন্ট শহীদ-উল মুনির, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্কো) প্রেসিডেন্ট ওয়াহেদ শরীফ, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম নূরুল আলম রেজভী, ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম, পরিচালক এস এম রেজাউল আলম এবং তাহমিনা আফরোজ তান্না, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ, ওয়ালকার্টের চেয়ারম্যান এস এম মঞ্জুরুল আলম অভি এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাবিহা জারিন অরনা,
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা এবং তার তথ্য-প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে আমরা ৯০ শতাংশ সরকারি সেবা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দিতে পারছি। দেশের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার খাতে ২০ লাখ মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছি। আমরা আমদানিকারক দেশ থেকে উৎপাদনকারী দেশ এবং সেখান থেকে রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছি। এক্ষেত্রে ওয়ালটন যুগান্তকারী ভূমিকা রাখছে। আমাদের লক্ষ্য ২০২৫ সালের মধ্যে আইসিটি খাত থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়। যার এক-পঞ্চমাংশ ওয়ালটনের কাছ থেকে আসবে বলে আমরা আশা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার নিজে ব্যবসা করছে না, বরং ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছে। যার অন্যতম উদাহরণ হচ্ছে ওয়ালটন। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার সঙ্গে ওয়ালটন তাল মিলিয়ে ডিজিটাল ইকোনমিতে অবদান রাখছে। করোনাকালে ওয়ালটন কর্মী তো ছাঁটাই করেনি, বরং ৫ হাজার নতুন কর্মী নিয়োগ দিয়েছে। তারা ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন ও রপ্তানি করছে। বাংলাদেশের গর্ব ওয়ালটন। তারা যখন ই-কমার্স খাতে এমন একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ নিয়ে এসেছেন, তখন নিঃসন্দেহে বলতে পারি, এ খাতেও গ্রাহক তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা পাবেন।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ চমক হিসেবে ‘প্রিমো এসএইট’ মডেলের নতুন ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনের টেকনিক্যাল রিভিউ দেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের এমডি ও সিইও গোলাম মুর্শেদ।
এ সময় গোলাম মুর্শেদ বলেন, ‘আইসিটি খাতে রপ্তানি আয়ে বাংলাদেশ সরকারের যে লক্ষ্য এবং ওয়ালটনের কাছে যে প্রত্যাশা, তা আমরা অবশ্যই পূরণ করব। ওয়ালকার্ট বাংলাদেশের মানুষের আস্থা অনুযায়ী কাজ করবে। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা বিশ্বজুড়ে নিয়ে যাবো।’
নতুন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ওয়ালকারর্টের তরফে জানানো হয়,‘ওয়ালকার্ট ডটকম’ (https://walcart.com) মূলত একটি বিটুবি এবং বিটুসি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি দেশব্যাপী ডেলিভারি সেবা দিচ্ছে। এখানে আছে ওয়ালটনের পণ্যসহ ৩০টিরও বেশি ক্যাটাগরিতে পণ্য ও সেবা।